অতি দরকারি এবং ছোট ছোট কিছু মার্কেটিং টিপস!

অতি দরকারি এবং ছোট ছোট কিছু মার্কেটিং টিপস!

বেশিরভাগ সময় আমরা ছোট ছোট জিনিস এড়িয়ে চলি মনের ভুলেই অথবা ইচ্ছে করেই। হয়তোবা এই ছোট ছোট জিনিসগুলো এড়িয়ে না গেলে সাফল্যটা আরেকটূ সহজেই ধরা দিত। মার্কেটিং এর ক্ষেত্রেও এরকম ছোট ছোট অনেক বিষয় আছে যা অনেক কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে যদি সঠিকভাবে এপ্লাই করা যায়। এইখানে এরকম কিছু ছোট ছোট বিষয় তুলে ধরলাম।

  • যেখানেই যান না কেন বিজনেস অথবা ভিজিটিং কার্ডটা নিতে একদমি ভুলবেন না। বিজনেস কার্ড আপনার বিজনেস এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র। এর মাধ্যমে অনেকটা সহজে আপনার বিজনেস এর মার্কেটিংটা করে ফেলতে পারছেন।
  • নেটওয়ার্ক গড়ে তুলুন। কখন কার মাধ্যমে আপনি উপকৃত হবেন আপনি নিজেও জানেন না। নেটওয়ার্কিং এর গুরুত্ব আমরা এখনও সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারি না। অনেকেরেই ধারণা এত নেটওয়ার্ক করে কি হবে? আমি একাই একশো।
  • আপনার প্রতিযোগীকে নিয়ে এনালাইসিস করুন। এনালাইসিস করার মাধ্যমে নতুন অনেক কিছুই আপনি যোগ করতে পারবেন আপনার বিজনেস এর জন্য অথবা মার্কেটিং প্ল্যানে। তাই বলে আবার ভেবে নিবেন না যে আমি হুবহু কপি করতে বলছি।
  • সবসময় নিজের মন যা চাইল সেভাবে করে মার্কেটিং করার প্রয়োজন নেই। আপনার টার্গেট কাস্টমার কি চাচ্ছে তাদের জায়গায় নিজেকে চিন্তা করে আপনার বিজনেস এর মার্কেটিং প্লান সাজান।
  • গ্রাহক কোন চ্যানেলের মাধ্যমে আপনার কথা শুনে তা খুজে বের করুন, ধরুন গ্রাহক যদি আপনাকে সার্চ ইঞ্জিনে,সোশ্যাল মিডিয়াতে,একটি ব্লগের মাধ্যমে শুনে থাকে তবে সেই দিক গুলোর মাধ্যমে আপনার পণ্য বা সেবার মেসেজ আপনার গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেন।
  • পারসোনাল ব্র্যান্ডিং আপনি কখনই এড়িয়ে যেতে পারবেন না। নিজের ব্র্যান্ডিং নিজেকেই করতে হয়। অন্য কেও এসে আপনার হয়ে গলা ফাটাবে না। নিজের যতটুকু স্কিল আছে সেগুলো প্রচার করুন, দেখবেন কোন না কোনভাবে কাজে দিবে। সাথে নতুন নতুন স্কিল অর্জন করতে থাকুন আর নিজের জন্য বেশি বেশি সময় ব্যয় করুন। দেখবেন উপার্জনের বিভিন্ন পথ আপনার সামনে খুলে যাবে ইনশাল্লাহ।
  • আপনার প্রতিযোগী থেকে একটু ভিন্নভাবে নিজেকে ক্রেতার কাছে উপস্থাপন করার চেষ্টা করুন সবসময়। ক্রেতা আপনার কাছে আসতে বাধ্য যদি নিজেকে একটু অন্যভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারুন।
  • ধারাবাহিকতা রক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় অনলাইন কিংবা অফলাইন উভয় ক্ষেত্রে।
  • সবসময় আপনার বিজনেস পেইজে সেল পোস্ট করতে হবে এমনটা নয়। মাঝে মাঝে অন্যকিছু পোস্ট করতে পারেন যার মাধ্যমে কাস্টমার এনগেজমেন্ট খুব সহজে বাড়াতে পারেন । আপনার প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস এর বিভিন্ন ধরণের উপকারিতা নিয়ে পোস্ট করতে পারেন। আপনার প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস ব্যাবহার করে কিভাবে আপনার টারগেটেড কাস্টমার এর সমস্যা দূর হতে পারে সেগুলো তুলে ধরতে পারেন আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে। দেশি বিদেশি বিখ্যাত মারকেটাররা বলে থাকেন ৮০-২০ রুলস ফলো করার জন্য বিজনেস পেজে পোস্ট করার ব্যাপারে, যদি ২০% সেল পোস্ট করি তাহলে বাকি ৮০% পোস্ট হবে সোশ্যাল পোস্ট। পুরাতন ধারণা থেকে বের হয়ে আসুন এবং বিজেনস পেজে পোস্ট এর ব্যাপারে আরেকটূ চিন্তা করে দেখুন।
  • আপনার ব্যবসার কাস্টমার নিয়ে রিসার্চ করুন, কাস্টমার এর পিছনে সময় ইনভেস্টমেন্ট করুন। এর চেয়ে মহামূল্যবান ইনভেস্টমেন্ট আর হতে পারে না। আপনার প্রোডাক্ট বিক্রি করার পর ও কাস্টমার এর সাথে যোগাযোগ বজায় রাখুন, আপনার প্রোডাক্টটি ব্যবহার করতে গিয়ে তিনি কোন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে কিনা জানতে চেষ্টা করুন। বর্তমান সময় প্রতিযোগিতা অনেক বেশি, এই প্রতিযোগিতাপূর্ণ মার্কেটে নিজের অবস্থান শক্ত করার জন্য কাস্টমার এর সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি করা ছাড়া অন্য কোন বিকল্প নেই।
  • নিজে যতবেশি জানবেন ততবেশি অন্যদের প্রভাবিত সহজে করতে পারবেন। আর মার্কেটিং এর অন্যতম প্রধান শর্তই হচ্ছে অন্যকে প্রতিনিয়ত প্রভাবিত করা আপনার পণ্য অথবা সার্ভিস নেয়ার জন্য।
  • কাস্টমার ডেটাবেজ তৈরি করতে একদমি ভুলে গেলে চলবে না। আপানর কাস্টমার ডেটাবেজ যত বেশি সমৃদ্ধ হবে তত বেশি সাফল্যর প্থটাও প্রশস্ত হবে।

আমার দৃঢ় বিশ্বাস উপরে উল্লেক্ষিত বিষয়গুলো যদি সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারি তাহলে আমাদের বিজনেস অথবা যেকোন ক্ষেত্রে সাফল্য সহজে ধরা দিবে। ধন্যবাদ সবাইকে।

CATEGORIES
Share This

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus (0 )